
পবিত্র আল-কোরআন ধার্মিকতা (তাকওয়া) এর গুরুত্ব তুলে ধরে, যা মানসিক শান্তি অর্জন এবং সমস্ত ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। হযরত মির্জা বশীরুদ্দীন মাহমুদ আহমদ (রা) তাঁর বিশাল তাফসীর ‘তাফসীর-ই-কাবীর’-এ এই ধারণাটি গভীর প্রজ্ঞা ও দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছেন।
সূরা আল-আ’রাফে আল্লাহ বলেন: “হে মুমিনগণ! তোমরা সম্পূর্ণ শান্তিতে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।” [৭:২০১] হযরত মির্জা বশীরুদ্দীন মাহমুদ আহমদ (রা) ব্যাখ্যা করেন যে, প্রকৃত শান্তি অর্জন করা যায় শুধুমাত্র ধার্মিকতা অবলম্বন করে এবং শয়তানের পথ পরিত্যাগ করে, যা উদ্বেগ ও অশান্তির কারণ।
আরও, সূরা আন-নাহলে আল-কোরআন ঘোষণা করে: “নিশ্চয় যারা ভয় করে এবং ধার্মিক আচরণ করে, তাদের জন্য রয়েছে মহা পুরস্কার।” [১৬:৬৩] প্রতিশ্রুত পুত্র (রা) অনুসারে, এই পুরস্কার শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক আশীর্বাদ নয়, বরং এ দুনিয়াতেও মানসিক শান্তি ও সন্তোষ অন্তর্ভুক্ত।
সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে, ধার্মিকতা দায়বদ্ধতা, সহানুভূতি এবং ন্যায়বিচারের ধারণা তৈরি করে, যা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পর্ক বজায় রাখার এবং দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য অপরিহার্য। যখন ব্যক্তি ও সমাজ নৈতিক মূল্যবোধ এবং নীতিগত নীতিমালা অনুসরণ করে, তখন এটি বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং সহযোগিতার এক পরিবেশ তৈরি করে, যা সামাজিক সংহতি এবং স্থিতিশীলতার দিকে পরিচালিত করে।
এছাড়াও, ধার্মিক আচরণ আত্ম-শৃঙ্খলা, আত্ম-নিয়ন্ত্রণ এবং সংযম বৃদ্ধি করে, যা ব্যক্তিদের তাদের অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা এবং প্রবৃত্তিগুলি কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। এর ফলে আন্তরিক শান্তি এবং মানসিক কল্যাণ বৃদ্ধি পায়, কারণ ব্যক্তিরা সম্ভবত নেতিবাচক অনুভূতিগুলি যেমন রাগ, লোভ বা হিংসা দ্বারা গ্রাস হবে না, যা ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সঙ্গতিকে বিঘ্নিত করতে পারে।
সারসংক্ষেপ, পবিত্র আল-কোরআনের শিক্ষা, যেমন হযরত মির্জা বশীরুদ্দীন মাহমুদ আহমদ (রা) তাফসীর-ই-কাবীরে বিশদভাবে আলোচনা করেছেন, এটি গুরুত্বারোপ করে যে ধার্মিকতাই হল মানসিক শান্তি অর্জন এবং সমস্ত ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার চাবিকাঠি। নৈতিক এবং নীতিগত নীতিমালা অনুসরণ করে, ব্যক্তি এবং সমাজ বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং সহযোগিতার এক পরিবেশ গড়ে তুলতে পারে, যা ব্যক্তিগত সন্তোষ এবং সামাজিক সঙ্গতির দিকে পরিচালিত করবে।