অতল গহ্বরের কিনারায়: ২৫ জুলাইয়ের ডুবে যাওয়া প্রতিরোধের আহ্বান

২৫ জুলাইয়ের ঝলমলে তাপে, যখন জল সাইরেনের মতো ডাকে, বিশ্ব ২৩৬,০০০ প্রাণের বার্ষিক দাবি করা তরল অতল গহ্বরের কথা ভাবতে থামে। এই দিনটি, জাতিসংঘের মহাসভা দ্বারা বিশ্ব ডুবে যাওয়া প্রতিরোধ দিবস নামে অভিহিত, মানব চেতনার বিশাল সমুদ্রে একটি বয়া হিসাবে উঠে আসে। কল্পনা করুন, সূর্যপোড়া গ্রাম এবং ব্যস্ত উপকূলীয় শহরে শিশুদের আর বিশ্বাসঘাতক তরঙ্গের নিচে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া নয়। যেখানে পাঁচ নম্বরটি আমাদের আর তাড়া করে না, কারণ ডুবে যাওয়া ৫-১৪ বছর বয়সী আমাদের ছোটদের জন্য মৃত্যুর পঞ্চম অশ্বারোহী আর নয়।

কোরআন একটি প্রাচীন সত্য ফিসফিস করে: একটি জীবন বাঁচান, এবং আপনি মানবতাকে বাঁচিয়েছেন। মনে হয় যেন প্রতিটি উদ্ধারকৃত শিশুর মধ্যে সভ্যতার সম্ভাবনা রয়েছে। নবীর কথাগুলি সময়ের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, যারা পৃথিবীর বোঝা লাঘব করে তাদের জন্য ঐশ্বরিক স্বস্তি প্রতিশ্রুতি দেয়। একটি শিশুকে ক্ষুধার্ত জলে হারানোর চেয়ে বড় বোঝা কি হতে পারে? এই জলময় কাহিনীতে, এমনকি প্রতিশ্রুত মসীহ এবং তাঁর উত্তরসূরীও তাদের অংশ পালন করেন, তাদের কথা যেন ডুবে যাওয়া পৃথিবীতে ছুড়ে দেওয়া জীবন রক্ষাকারী। “মানবতার সেবা,” তারা চিৎকার করে, “বিশ্বাসীর কর্তব্য!” শিক্ষা আমাদের ভেলা হয়ে ওঠে, সচেতনতা আমাদের কম্পাস।

এবং তাই, জীবন এবং মৃত্যুর এই যাদু বাস্তবতাবাদী নাটকে, আমরা সবচেয়ে সাধারণ তাবিজ দিয়ে সজ্জিত: সাঁতার পাঠ, লাইফ জ্যাকেট এবং সতর্ক দৃষ্টি। এগুলি হল জলের অন্ধকার জাদুর বিরুদ্ধে আমাদের বানান। সম্ভাবনার তীরে দাঁড়িয়ে আমরা এমন একটি ভবিষ্যত দেখি যেখানে ডুবে যাওয়া একটি বিবর্ণ দুঃস্বপ্ন, যেখানে প্রতিটি শিশু একটি মাছের আত্মবিশ্বাসের সাথে সাঁতার কাটে, এবং যেখানে জল আবার আমাদের বন্ধু, আমাদের শত্রু নয়। এটি সেই গল্প যা আমাদের লিখতে হবে, প্রতিটি জীবন বাঁচানো মানবতার বিজয়ের বইয়ে খোদাই করা একটি শব্দ।

Leave a Comment