ডুবে যাওয়ার গল্প

গরমের দুপুরে নদীর পানি ঝকঝক করছে। সূর্যের আলোয় চোখ ধাঁধিয়ে যায়। এমন একটা দিনে কে না চায় পানিতে ঝাঁপ দিতে? কিন্তু এই পানি যে কত নিষ্ঠুর হতে পারে, তা কে জানত?মিতু ভাবছিল এসব। ওর ছোট ভাই রাজু গত বছর এমনি একটা দিনে নদীতে ডুবে গিয়েছিল। এখনও মনে পড়লে বুকটা টনটন করে ওঠে।”কি রে মিতু, কি ভাবছিস?” মা এসে দাঁড়ালেন পাশে।মিতু চুপ করে রইল। কি বলবে? বলবে যে আজ নাকি বিশ্ব ডুবে যাওয়া প্রতিরোধ দিবস? এসব কথা বলে কি লাভ? রাজু তো আর ফিরে আসবে না।”চল, একটু চা খাওয়া যাক,” মা বললেন।মিতু উঠে দাঁড়াল। হঠাৎ ওর মনে হল, রাজু যদি সাঁতার জানত, তাহলে হয়তো…”মা, আমি সাঁতার শিখব,” মিতু বলল।মা’র চোখে জল এসে গেল। “হ্যাঁ রে, শিখবি। আর পাড়ার সব বাচ্চাদেরও শেখাবি। কেমন?”মিতু মাথা নাড়ল। ওর মনে হল, এভাবেই হয়তো রাজুর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে। আর হয়তো অন্য কোনো রাজুকেও বাঁচানো যাবে।গরম হাওয়ায় নদীর পানি কুলকুল করে বয়ে যাচ্ছিল। মিতুর মনে হল, পানি যেন বলছে – “আমাকে ভয় পেও না, আমাকে চিনে নাও।”

Leave a Comment